চাঁদপুরে ৭ জঙ্গির রিমান্ড: তিন জনের স্বীকারোক্তি

চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জে আটক আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্য আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2018, 01:09 PM
Updated : 26 Oct 2018, 01:09 PM

বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের বিচারিক হাকিম সফিউল আজমের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়।

এর আগে রিমান্ড শেষে সাত জনকে আদালতে আনা হয়। বাকি চারজন জবানবন্দি দেননি।

জবানবন্দি দিয়েছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর এলাকার কাউছার হামিদ (১৯), কুমিল্লার হোমনার মাহমুদুর রহমান (২৪) ও নারায়নগঞ্জ সদরের রাশেদুল ইসলাম (২৫)।

আটক অপর চার জঙ্গি হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কামরুল হাসান (২৫), কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের নেয়ামত উল্লা (২৪), টাঙ্গাইলের নাগরপুরের হাবিবুর রহমান (২৩) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ফজলুল করিম (২৫)।

গত ২০ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেরোয়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী মো. বাবু ওরফে আবু রায়হানের ভবনে অভিযান চালায় এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর গ্রামের কাউছার হামিদসহ সাত জনকে আটক করে।

তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ২টি প্যান ড্রাইভ, ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।এসব ডিভাইসে জঙ্গি তৎপরতার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের জন্যই এরা ফরিদগঞ্জে আসেন। তারা কাউছার হামিদের ভগ্নিপতি সৌদি প্রবাসী আবু রায়হানের পৌর এলাকার উত্তর কেরোয়া গ্রামের নির্জন বাড়িটি তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেন।

“কিন্তু গ্রামের সচেতন মানুষের কারণে এবং পুলিশের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির কারণে তারা ফরিদগঞ্জে আসার একদিনের মধ্যেই ধরা পড়েন।”

ওসি বলেন, আটক জঙ্গিদের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ হলেন রাশেদুল। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। অন্য দুজন মাহমুদুর রহমান ও কাউছার হামিদও পূর্বে থেকেই আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির সাংবাদিকদের জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রেপ্তার হওয়া এই সাত জঙ্গি পুলিশ ও কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের কাছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, দেশে এযাবতকালে একসঙ্গে সাত জন জঙ্গি ধরার ঘটনা এই প্রথম। তারা মূলত দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে দীক্ষা প্রদান এবং প্রশিক্ষণ দলের সক্রিয় সদস্য। রিমান্ড শেষ হলেও তাদের কার্যক্রমের উপর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন বৈঠক করার সময় তাদের আটক করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। রোববার আদালত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দেয়। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষ হয়।