মইনুলের বিরুদ্ধে আরেকটি পরোয়ানা

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অশালীন কথা বলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে নেত্রকোণার একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিনেত্রকোণা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2018, 04:38 PM
Updated : 25 Oct 2018, 04:39 PM

এছাড়া কিশোরগঞ্জের আরেকটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল হক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

একইদিন মামলাটি দায়ের করেছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা।

বাদীর আইনজীবী মনোয়ারুল হক জানান, দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১  ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

“গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির ‘৭১ জার্নাল’ নামে একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন মইনুল হোসেন। তার এমন বক্তব্যে নারী জাতিসহ সকল সাংবাদিকদের অপমানিত করা হয়েছে।”

মনোয়ারুল বলেন, একজন নারী হিসেবে কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিকভাবে অপমাণিত হয়েছেন। তার প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি।

“শুনানি শেষে আদালত মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।”

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিলকিছ বেগম।

শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম একরামুল হক শামীম অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী সাগর ঘোষ জানান।

আদালতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন ফারুকীসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী বিলবিছ বেগম বলেন, “টেলিভিশন টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করায় সামাজিক ও মানসিকভাবে অপমানিত হয়েছি। তিনি পুরো নারী সমাজকে অপমান করেছেন। এজন্য ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছি।”

১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন মইনুল হোসেন। এরপর থেকে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এবং একের পর এক জেলায় মামলা হতে থাকে।

রংপুরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ব্যারিস্টার মইনুল বর্তমানে কেরাণীগঞ্জে  ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা, জমালপুর, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, ভোলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আরও কয়েকটি জেলায়ও একই অভিযোগে মামলা হয়েছে।