বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তারা অবরোধ রাখে।
এ সময় মহাসড়কের দুপাশে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শ্রমিকরা।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদরের বাজারে একটি লোকাল বাস রাস্তায় উপর দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানোর অভিযোগে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ বাস শ্রমিকরা জড়ো হয়ে পুটিজুরি বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় মহাসড়কের দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জেলা মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় বলেন, মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সিএনজি ও ফিটনেস বিহীন গাড়িসহ বহু যানবাহন চলাচল করছে। প্রশাসন সে ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ যাত্রী উঠানোর কারণ দেখিয়ে বাস চালকে জরিমানা করেছে। এ কারণে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
বাহুবল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জসিম উদ্দিন জানান, শুধু রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানো নয় গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স চাইলে চালক দেখাতে পারেনি। তাই তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই জানান, বাস শ্রমিক ও প্রশাসনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সমাধাণ করা হয়েছে। মহাসড়ক থেকে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যার করেছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।