তবে কারা, কেন তাদেরকে অপহরণ করেছিল- সে বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বাদলকে বৃহস্পতিবার ভোরে হাত বাঁধা অবস্থায় সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। আর ছাত্রলীগ কর্মী সাকিল আহম্মেদ ও যুবলীগ কর্মী সাকিল মিয়াকে হাত-পা বেঁধে ফেলে যাওয়া হয় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায়।
তিনজনের মধ্যে শফিকুর ও সাকিল আহম্মেদ ‘নিজেরাই’ বাড়ি ফিরে আসেন। আর সাকিল মিয়া বাড়িতে ফোন করে খবর দিলে তার বাবা পুলিশের সহায়তায় রাজেন্দ্রপুর থেকে তাকে নিয়ে আসেন বলে জানান রফিকুল।
শফিকুরের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, “আমার স্বামীকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
আড়াইহাজারে চার খুনের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে বুধবার বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার বড়ালু এলাকা থেকে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শফিকুর রহমান ভূইয়া বাদল (৪৫), ছাত্রলীগকর্মী সাকিল আহম্মেদ এবং যুবলীগকর্মী সাকিল মিয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তাদের পরিবার।
বাদলের ভাই মুকুল ভূইয়া সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, তারা তিনজন মোটরসাইকেলে করে বড়ালু এলাকা থেকে মাঝিনায় ফেরার পথে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একদল লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাদের টেনে-হিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
তবে সাংবাদিকরা রূপগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করলে ওসি মনিরুজ্জামান কাউকে আটকের কথা অস্বীকার করেন।
সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খোঁজ না মেলায় স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা উপজেলার ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বৃহস্পতিবার তিনজনের খোঁজ মেলার পর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “তিনজনকে পৃথক দুটি স্থানে রেখে গেছে অপহরণকারীরা। তবে কারা, কেন, কী কারণে তাদেরকে অপহরণ করেছিল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।”