বুধবার সন্ধ্যায় মহিষ খোলা স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ মীর মালত (১৭) মহিষ খোলা এলাকার আলী হোসেন মীর মালতের ছেলে।
নাহিদের বাবা হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে নাহিদের স্বজন বললেও তাদের প্রতিপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
নিহতের চাচাত ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গাজী ও সাবেক চেয়ারম্যন আলী উজ্জামান মীর মালতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরা দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা।
রবিউল বলেন, এর জের ধরে গত বছর আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন মাইকেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই মামলার সাক্ষী আলী হোসেন মীর মালত গত কয়েক দিন আগে সি আই ডির কাছে সাক্ষী দেন। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।
“এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহিষ খোলা স্কুল মাঠে একটি ভ্যানের উপর বসা নাহিদ মীর মালতকে ১৫/২০ জন লোক পিটিয়ে আহত করে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
রাজনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন আলী উজ্জমান মীর মালত বলেন, “যুবলীগ নেতা মাইকেল খুনের ঘটনায় আলী হোসেন মীর মালত সি আই ডিতে সাক্ষী দেওয়ায় প্রতিপক্ষে লোকজন তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।”
রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গাজী বলেন, মাইকেল খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাহিদকে মারপিট করেনি। সন্ধ্যার পরে প্রতিদিন যুবকরা মহিষ খোলা মাঠে আড্ডা দেয়। তাদের মধ্যে কোনো বিরোধকে কেদ্র করে মারামারি হতে পারে।
নড়িয়া থানার ওসি মুঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, সন্ধ্যার পরে নাহিদসহ ২/৩ জন যুবক মহিষ খোলা বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ কয়েকজন লোক এসে নাহিদের উপর হামলা করে মারাত্মক আহত করে। পরে সে হাসপাতালে মারা যায়।