বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনের কার্যালয়ে কেক কেটে এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, “সাংবাদিক সংগঠন হল সাংবাদিক তৈরির কারখানা। এখানে যোগ্য, সৎ ও মেধাবীরাই আসে; তাদের চিত্তও বিশ্বের মতো উদার হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করবে না, যেটা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অহেতুক হয়রানি করে। আমি চাই তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুক, ভালো জায়গায় পৌঁছাক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনুক।”
জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মামুন-অর-রশিদ বলেন, “সাংবাদিকতা এখন বড়ো ধরনের এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের জন্য যে নতুন আইন করা হয়েছে, এগুলো স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য বাধা। অবশ্য এসবের মধ্য দিয়েই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে।”
রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুস হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাকালীন কোষাধ্যক্ষ ও যমুনা টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান শিবলী নোমান ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভার পর ক্যাম্পাসে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক ও বর্তমান সদস্য, বিভিন্ন সংগঠন ও বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।