জেলা শহরের আতিকুল আলম সড়কের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার রাতে ১৮ বছর বয়সী হাসনাত আরা রিম্পার লাশ তারা উদ্ধার করেন বলে ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান।
রিম্পা ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জুরা সমিতি বাজার এলাকার নুর নবীর ছেলে মো.নোমান রায়হানের স্ত্রী। তিনি ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ঘটনার পর থেকে নোমান ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিম্পার শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
স্বজনদের বরাতে পরিদর্শক শহীদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার বাঁশ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের মেয়ে রিম্পার সঙ্গে নোমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
পারিবারিক ভাবে রিম্পার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পেয়ে চলতি মাসের ৫ অক্টোবর নোমান তার সহযোগীদের সহায়তায় রিম্পাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে।পরে তারা আতিকুল আলম সড়কে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করেন।
তিনি বলেন, “কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে নোমানের সঙ্গে রিম্পার কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে হাতাহাতিতে গড়ায়।
“সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা ওই বাসা থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রিম্পার লাশ উদ্ধার করে।”
রিম্পার মা নাজমা আক্তার বলেন, “বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নোমান ও তার পরিবারের সদস্যরা রিম্পার উপর নির্যাতন চালাতো। রিম্পা নির্যাতনের ঘটনাগুলো তাদের কাছে বলে দেওয়ায় রায়হান তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে; এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে বলে পরিদর্শক শহীদুল জানান।