আড়াইহাজারে ৪ লাশ: তদন্তে অগ্রগতি নেই

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গুলি করে চারজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু মেলেনি। এখনও লিটন নামের একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 05:33 PM
Updated : 23 Oct 2018, 05:33 PM

এদিকে, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের চারজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ চার জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়াটি অস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের অতীতে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তাদের এলাকায় তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ধারণা দুটি সন্ত্রাসী প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ যারা সন্ত্রাসী বা ডাকাতও হতে পারে অথবা একই গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দল থেকে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”

ডিবি পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে হত্যা করার পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “নিহতের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে। ডিবি পুলিশ সেখানে কোনো অভিযান চালায়নি। তাদেরকে আটকও করা হয়নি। আমরা ওই পুলিশ ফাঁড়ির রেজিস্ট্রারও চেক করে দেখেছি।” 

গত রোববার ভোরে আড়াইহাজার উপজেলার পাচরখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশ থেকে চারজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলিভর্তি দুটি পিস্তল ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে।

ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন, পেছন থেকে শটগান দিযে গুলি করেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।

নিহতের স্বজনদের দাবি, ফারুক হোসেন, লিটন, জহিরুল ইসলাম, সবুজ সরদারকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাস চালক লুৎফর রহমান মোল্লা, বাস চালক ফারুক হোসেন, বেকারি শ্রমিক জহিরুল ইসলাম ও সবুজ সরদারের লাশ শনাক্ত করে স্বজনেরা। তবে লিটন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।