বয়লার বিস্ফোরণে ছাত্রী নিহত, ‘খবর শুনে’ আরেকজনের মৃত্যু

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি চাতালে বয়লার বিস্ফোরণে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন; খবরটি শোনার পর ওই চাতালের মালিকের মৃত্যু হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 12:20 PM
Updated : 23 Oct 2018, 12:20 PM

উপজেলা শহরের পশ্চিমপাড়ায় মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনায় দুই চাতাল শ্রমিক দগ্ধও হন।

মৃত দুজন হলেন স্থানীয় শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও জয়েনপুর আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন খাতুন (১৭) এবং চাতাল মালিক আলী হোসেন (৬১)।

আহতরা হলেন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ফুল মিয়া (৪০) ও একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫)।

তাদেরকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

সাদুল্লাপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, সকাল ৭টার দিকে শারমিন বাড়ির পাশে আলী হোসেনের চাতালের টিউবওয়েল পাড়ে কাপড় পরিষ্কার করছিলেন। ওই সময় চাতাল শ্রমিক ফুল মিয়া ও উজ্জ্বল মিয়া ধান সিদ্ধ করার জন্য বয়লারের চুলায় আগুন দেন।

“এক পর্যায়ে বিকট শব্দে চাতালের ধান সিদ্ধ করার বয়লারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে বয়লারটি ভেঙে চুরমার হয়ে আশপাশে ছিটকে পড়ে। ওই বয়লারের গরম পানিতে শারমিনের পুরো শরীর ঝলসে যায়। দগ্ধ হন চাতাল শ্রমিক ফুল মিয়া ও উজ্জ্বল মিয়া।”

ওসি আরও বলেন, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারমিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  

চাতাল মালিক আলী হোসেনের ছেলে রেজা মিয়া বলেন, “এ দুর্ঘটনার খবর শোনার পর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।”

ওসি আরও বলেন, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা চাতাল ও ধান ভাঙ্গানোর মিলটি অনেক পুরনো এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণেই হয়ত এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

জনবসতি এলাকায় হওয়ায় সেখানে মিলটি চালানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই সেখানে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।