সদর উপজেলার কাচারিঘাটবিনপাড়া এলাকায় গত ১০ অক্টোবর ধর্ণণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
স্থানীয় সিরতাইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পর ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারীঘাটেসন্ধ্যার পর খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় নদীপারে চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতেপড়েছে।
ঘাট ইজারাদারঅজয় সরকার বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে চরাঞ্চলে চার-পাঁচ হাজার লোক যাতায়াত করে। ১২দিন ধরে সন্ধ্যার পর ঘাট বন্ধ থাকায় আয় কমে গেছে।
চরাঞ্চলের কয়েকহাজার মানুষ প্রতিদিন শহরে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়।
স্থানীয় রাসেলহোসেন বলেন, চরাঞ্চলের সাত-আটটি গ্রামে নিম্ন আয়ের লোকজন বাস করে।
“খেটে খাওয়া সাধারণএসব মানুষকে এখন ছয়-সাত কিলোমিটার ঘুরে শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতেতাদের রোজগারে সমস্যা হচ্ছে।”
গোবিন্দপুর এলাকারগোলাম কিবরিয়া, শাহ আলম, শহিদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেছেন, দিনমুজুরের কাজের জন্য তাদেরসকাল ৬টায় শহরে যেতে হয় এবং ফিরতে হয় রাত ৮টার পরে।
নৌকা বন্ধ থাকায়তারা সময়মত যাতায়াত করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন।
কোতোয়ালি থানারওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার কারণে সন্ধ্যা ৬টা থেকেসকাল ৭টা পর্যন্ত নৌকা পারাপারসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায়বাপ্পী মিয়া নামে একজনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তবে সন্ধ্যারপর নৌকা বন্ধ রাখলে কিভাবে নিরাপত্ত-সমস্যার সমাধান হবে তা তিনি বলতে পারেননি।