একটি টেলিভিশন টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলার পর দেশব্যাপী সমালোচনা এবং আদালতে মানহানির মামলার মধ্যে তোফায়েল এই মন্তব্য করলেন।
রোববার ভোলায় এক অনুষ্ঠানে তোফায়েল বলেন, “মাসুদা ভাট্টি একজন সৎ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক। তাকে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে উক্তি করেছেন তা দুঃখজনক; বরং রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।”
মইনুল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী খন্দাকর মোশতাকের দলের একজন নেতা হয়েছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন ছাত্র শিবিরের এক অনুষ্ঠানে ২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবিরের গুণকীর্তন করেছেন। এখন আবার ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাকারী ও হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছেন।”
তোফায়েল আরও বলেন, আজ তার বক্তব্যের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশর নারী সমাজ ঘৃণা পোষণ করেছে। দেশের ৫৫ জন সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা তোফায়েল আরও বলেন, “বিএনপি দৈন্যে ভোগা একটি দল। বিএনপির মধ্যে যোগ্য কোনো লোক নেই বলেই তারা কামাল হোসেনের মতো একটা দল ত্যাগকারী নেতাকে আজকে বেছে নিয়েছে।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা দিয়েছে তার সবগুলো সংবিধান পরিপন্থি এবং কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি তোফায়েলের।
ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা তোফায়েল, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।