বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমুল হোসাইন (২২) নামে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
নাজমুল আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকতেন সাদ্দাম হোসেন হলে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বরাত গ্রামের আবদুল মালেক গাজীর ছেলে তিনি।
প্রক্টর মাহবুবর বলেন, “নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
নাজমুলের বন্ধুরা বলছেন, তারা ভেতর থেকে দরজা আটকানো এবং জানালা দিয়ে তাকে রশিতে ঝুলতে দেখেন। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মচারী মিজানুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে নাজমুল চিকিৎসাকেন্দ্রে আসতেন।
“ডাক্তার তাকে সবকিছু জিজ্ঞেস করতেন। নাজমুল শুধু বলতেন, ‘আমি খুব টেনশনে আছি। আমার কোনো কিছু ভালো লাগে না’।”
নিহত নাজমুলের বড় ভাই দেলওয়ার হোসেন জানান, “নাজমুল শ্বাসকষ্ট, চক্ষুরোগ, প্রেশারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।”
নাজমুলের সহপাঠীরা জানান, কয়েক দিন ধরে তাকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। প্রায়ই তিনি ডাক্তারের কাছে যেতেন। গত বুধবারও কুষ্টিয়ায় এক চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার।