জেলার লৌহজং থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী জানান, আটক এএসআই সোহেল রানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।
এছাড়া সোহেলের দুই সহযোগী মো. মোহন (২৪) ও লিটন শেখকেও (২২) আটক করেছে পুলিশ। তাদের বাড়ি জেলার সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার গ্রামে।
ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর মা ইলিশ ধরা, সংরক্ষণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
তবু কিছু জেলে লুকিয়ে মা ইলিশ শিকার করে পদ্মার চরের অস্থায়ী কয়েকটি হাটে বিক্রি করে।
ওসি লিয়াকত বলেন, “এটা অবৈধ হওয়ায় পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকবার জোর করে ইলিশ নিয়ে গেছেন এএসআই সোহেল।
“পরে জেলেরা খোঁজ নিয়ে দেখে সোহেল মুন্সীগঞ্জের পুলিশ না। শুক্রবারও সোহেল ও তার দুই সহযোগী ভয় দেখিয়ে জোর করে মাছ নিতে গেলে জনতা ও জেলেরা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।”
তাদের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শ্রীনগর ও লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা বলেন, “প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সোহেল জেলেদের কাছ থেকে মা ইলিশ ও টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।”