এই চারজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা শিক্ষার্থীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে ১৪ শিক্ষার্থীকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে চারজনকে পুলিশে দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয়।
ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী জানান, সন্ধ্যায় প্যারিস রোডে একসঙ্গে হাঁটাহাঁটি করছিল ওই শিক্ষার্থীরা। তাদের থামতে বললে তারা দৌড়ে পালানো শুরু করে। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাদের আটক করে।
এই সময় মতিহার হল ও মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ধ্যায় আমরা খবর পেলাম ছাত্রশিবিরের একটি দল ক্যাম্পাসে মিছিল করছে। সংবাদটি শুনে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় তাদের থামতে বলা হয়। কিন্তু এদিক-সেদিক দৌড়ে তারা অনেকে পালিয়ে যায়।
“পরে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে গিয়ে তাদের ১৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চারজন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়ে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
হাতবোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা শিবিরের কয়েকজনকে ধরেছি। এসময় আবার দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করতে তারাই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ উজ জামান বলেন, “হলে শিবির সন্দেহে শিক্ষর্থীদের আটক করেছিল ছাত্রলীগ। আমি এসে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছি। তবে বাইরের শিক্ষার্থীদের এই হলে ঢোকানো আমার পছন্দ হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “আমি বিষয়টি জানলে পুলিশ প্রশাসনকে জানাই। এরপর আমি নিজে ঘটনাস্থলে গেলে তারা (ছাত্রলীগ) আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে।”
মতিহার থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “আটককৃত চার শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”