র্যাব ১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বৃহস্পতিবার সকালে জানান, বুধবার বিকালে ঢাকার পূর্ব নাখালপাড়ার বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক তিনজনই ওই এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। তাদের মধ্যে দুইজন হলেন ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আবু কাউছার শান্ত (১৮) ও মো. রাশেদ আহমেদের ছেলে মো. শহীদ আফ্রিদি (১৮)। অন্যজনের বয়স ১৬ বছর।
র্যাব কর্মকর্তা রফিউদ্দীন সংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর উপজেলার মালিহাতি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে গলাকাটা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
“র্যাব গোয়েন্দারা সন্ধানে নেমে জানতে পারেন নিহত হেলাল উদ্দিন (৩৫) ছিলেন উবার চালক। উবার থেকে তথ্য নিয়ে সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি শুরু করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাই করা কারটি তারা বিজয় সরণি ফ্লাইভারের নিচে রাখে বলে জানায়। কারটি পুলিশ পরিত্যক্ত হিসেবে ইতোমধ্যেই উদ্ধার করেছে।”
আটককৃতদের বরাতে রফিউদ্দীন বলেন, “তারা চোরাই সিম কিনে উবারের গাড়িটি ভাড়া করে। ঢাকার মগবাজার থেকে হবিগঞ্জে অসুস্থ খালাকে দেখতে যাওয়ার নামে রওনা হয়।
“হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার কাটাখালি পৌঁছে চালকের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। হেলাল লুটিয়ে পড়লে তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা। পরে তারা চোরাই গাড়ি সামলাতে না পেরে ফ্লাইভারের নিচে ফেলে রাখে।”
আসামিদের কাছ থেকে আলামত হিসেব গাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।