মাধবদী অভিযান: দুই মামলা, দুই নারী রিমান্ডে

নরসিংদীর মাধবদী পৌর এলাকা ও ভগীরথপুরে দুই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকও নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 10:09 AM
Updated : 18 Oct 2018, 03:57 PM

মাধবদীর আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণকারী দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতেও নিয়েছে পুলিশ।

জঙ্গি আস্তানা মাধবদীর নিলুফা ভিলার সপ্তম তলা এবং ভগীরথপুরের শেখের চরের বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে এখনও পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি এখন মোটামুটি শান্ত।

নব্য জেএমবির আস্তানা সন্দেহে পুলিশ সোমবার রাতে ওই বাড়ি দুটি ঘিরে ফেলার পর মঙ্গলবার সকালে আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়; এরপর শুরু হয় সোয়াটের অপারেশন ‘গার্ডিয়ান নট’।

মঙ্গলবার অভিযানের পর ভগীরথপুরের বাড়ি থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন আকলিমা রহমান মনি ও তার স্বামী আবদুল্লাহ আল বাঙালি।

আবদুল্লাহ নব্য জেএমবির মিডিয়া শাখার প্রধান বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

বুধবারের অভিযানে মাধবদীর পৌর এলাকার ছোট গদাইরচর এলাকার বাড়ি থেকে মেঘনা ও মৌ নামে দুই নারী আত্মসমর্পণ করেন।

ভগীরথপুরের ঘটনায় মাধবদী থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়েছে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায়। পরে রাত সোয়া ১২টায় দুই নারী ‘জঙ্গি’ আত্মসমপর্ণের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয় বলে  জানিয়েছেন মাধবদী থানার এসআই মিজানুর রহমান।

তিনি বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভগীরথপুরের ঘটনায় মাধবদী থানার উপপরিদর্শক এনায়েত কবির মামুন এবং অন্য ঘটনায় এসআই উত্তম কুমার বিশ্বাস সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা করেন।

প্রথম মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় গ্রেপ্তার দুই নারীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, একটি বাড়ি থেকে একটি ব্যাগ, তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। ভগীরথপুরের বাড়ি থেকে একটি জিহাদি বই, বিদেশি পিস্তল, একটি ছুরি, কয়েক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।

মেঘনা ও মৌকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট খতিয়ে দেখছে। জেলা পুলিশ এতে সহায়তা করছে।

নিহত দুই নব্য জেএমবি সদস্য আব্দুল্লাহ আল বাঙালী ও তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার মনির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মামুন বলেন, “তাদের কোনো আত্মীয়স্বজন এখন পর্যন্ত আসেনি। কোনো দাবিদার না আসলে আমরা এগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেব।”