জেলার তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের মঙ্গলবার এ রায় দেন।
দণ্ডিত ২৫ আসামির সবাই রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরপরই তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া চার আসামি হলেন- আলামিন, মিজানুর রহমান, নাজমুল ও স্বপন মিয়া।
বিচারক ২৫ আসামির সবাইকে পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রায়ে।
২০১২ সালের ২৪ আগস্ট করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা গ্রামের কোবাদ মিয়া ও জাকারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
জজ আদালতের পিপি শাহ আজিজুল হক মামলার নথির বরাতে বলেন, কোবাদ মিয়ার ভাতিজার মোবাইল ফোন চুরি হলে চোর খুঁজতে গিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। এর জেরে কোবাদ ও জাকারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা মারা যান।
এ ঘটনায় কোবাদ মিয়ার স্ত্রী সুজাতা আক্তার থানায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পিপি আজিজুল বলেন, “সাক্ষ্য-প্রমাণে ২৫ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্থ করে আদালত এই রায় দিয়েছে।”