গাজীপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ২০

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত ইন্ট্রামেক্স গার্মেন্টের শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2018, 06:10 PM
Updated : 15 Oct 2018, 06:10 PM

সোমবার বিকালে নগরীর লক্ষীপুরা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এএসপি মো. মকবুল হোসেন বলেন, ইন্ট্রামেক্স কারখানার স্থায়ী স্টাফদের পাঁচ মাসের এবং শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের দাবিতে সোমবার সকালে টানা দ্বিতীয় দিনের মত কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।

“কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ অক্টোবর পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা না মেনে ভাংচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানার পাশে ঢাকা-গাজীপুর সড়কে অবরোধ দিতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।“

আন্দোলনরত শ্রমিকরা এ সময় পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে মকবুল হোসেন জানান।

গাজীপুর সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর বলেন, সদর থানার এসআই বশির আহমদসহ, শ্রমিকরাসহ ২০ জন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে এসআই বশির আহমেদ, কারখানার কোয়ালিটি কন্ট্রোলার আব্দুল আলিম, প্যাকিংম্যান মারফত আলী এবং আয়রনম্যান মোবারক হোসেনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই গার্মেন্টের স্থায়ী স্টাফদের পাঁচ মাসের এবং শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক তারিখ দিয়েও পাওনা পরিশোধ করেনি।

বেতনের আশ্বাসে রোববার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে কাজে যোগ দিলেও টাকা না পেয়ে দুপুরে তারা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি।

কারখানার ইলেক্ট্রেশিয়ান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা আন্দোলনের শুরু করলেও পরে কারখানার স্থায়ী স্টাফরা তাতে একাত্মতা জানায়। সোমবার সকালে আবারও তারা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন।

“আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল মেরেছে। বহু শ্রমিক আহত হয়েছে।”

কারখানার জিএম (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শ্রমিক ও স্টাফ মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা ছয় হাজারের মত। প্রতিমাসে তাদের বেতনের জন্য সোয়া ৬ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু অর্থসঙ্কটের কারণে আমরা কথামত দিতে পারছি না।

“তারপরও আমরা ২৪ অক্টোবর বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা তা না মেনে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা অফিস কক্ষের কাচ ভাংচুর করেছে।”