জেলার এজি মাহমুদ জানান, শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরিফ মৃধা (৩৫) বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামের রশীদ মৃধার ছেলে।
জেলার মাহমুদ বলেন, “বেলা ২টার দিকে আরিফের স্বজনরা জেল হাজতে দেখা করতে আসেন। তারা যাওয়ার পরপরই সাড়ে ৩টার দিকে আরিফের বমি শুরু হয়।
আরিফের বাবা রশীদ মৃধা অভিযোগ করেছেন, গোয়েন্দা পুলিশ তার ছেলেকে গ্রেপ্তারের সময় ও পরে মারধর করেছে। এ কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসক শাকিল বলছেন, “আরিফের উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা ছিল। এছাড়া লিভারেও সমস্যা ছিল।
“লিভারের সমস্যার কারণে তার শরীর কিছুটা ফুলে ওঠে। আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”
বরগুনা থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি হারুনুর রশীদ বলেন, গত ২ অক্টোবর বড় লবণগোলা থেকে একশ ইয়াবাসহ আরিফ ও তার মা কুলসুমকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। ওই ঘটনায় বরগুনা থানায় মামলা হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
“আরিফ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। আটকের সময় তিনি খালে লাফিয়ে পড়েছিলেন। কার্যালয়ে আনার পথে বা কার্যালয়ে কোথাও তাকে আঘাত করা হয়নি।”