ফখরুল টের পাচ্ছেন ডিজিটাল আইন কত জরুরি: জব্বার

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া ফেইসবুক পেজ খোলার প্রসঙ্গ তুলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এত দিনে তিনি টের পাচ্ছেন এ আইনটা কত জরুরি।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2018, 03:09 PM
Updated : 12 Oct 2018, 04:29 PM

শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন করলাম তখন আমাদের তুলাধুনা করা হল। আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিডি করেছেন তার নামে ফেইক আইডির জন্য। তিনি টের পাচ্ছেন এ আইনটা কত জরুরি।

“আমি নিশ্চিতভাবে বলি, আমাদের ডিজিটাল দুনিয়া যত সম্প্রসারিত হবে, অপরাধের মাত্রাও তত বাড়বে এবং তত বেশি প্রয়োজন অনুভব করবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের।”

ফেইসবুকে ভুয়া আইডি মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেইসবুকের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে, কোনো ফেইক আইডি যদি থাকে, সেটা যদি রিপোর্ট করা হয়, ফেইসবুক আমাদের এটা সরিয়ে ফেলতে সহযোগিতা করে।

“আমরা কেবল ফেইসবুকের ওপর নির্ভরশীল থাকব না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা থাকছে। আমরা আশা করছি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের ভেতর আমাদের সক্ষমতা তৈরি হবে, যাতে আমরা পুরোটা মিটআপ করতে পারি। অসহায়ের মত বসে থাকার মত অবস্থায় নেই আমরা এখন। আইনগত কাঠামো ছিল না। এটা একটা দুর্বলতা ছিল। প্রযুক্তিগত যে সক্ষমতা অর্জন করা দরকার, বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় সক্ষম হয়েছে।”

ফাইভ স্টার মোবাইল ফোন নামে একটি মোবাইল ফোনসেট অ্যাসেম্বলিং কারখানা উদ্বোধন করতে গাজীপুর আসেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে যদি হাইটেক পার্ক ঘোষণা করি, তাহলে তারা ১০ বছরের কর রেয়াদ পাবে। প্রথম সাত বছর পাবে শত ভাগ এবং পরের তিন বছর পাবে ৭০ শতাংশ।”

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক, ফাইভস্টার মোবাইল ফোনসেট কারখানার চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ, হেড অব বিজনেস অপারেশন মো. বশির উদ্দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ জানান, ২০ হাজার বর্গফুটের আল আমিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের ফাইভ স্টার মোবাইল ফোনসেট কারখানায় হ্যান্ডসেট সংযোজন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। কারখানায় পাঁচশ জনের কর্মসংস্থান হবে। প্রাথমিকভাবে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ হ্যান্ডসেট উৎপাদন করা হবে।