কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ৩১ আসামিকে বহন করা গাড়ি আদালত থেকে বুধবার বিকেল ৩টায় কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছায়।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন; আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। ৪৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় আদালতে।
আসামিদের মধ্যে ৩১ জনকে আটক করে কাশিমপুরের তিনটি কারাগারে রাখা হয়েছে।
বুধবার মামলার রায় ঘোষণার জন্য ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয় ৩১ আসামিকে।
আসামিদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন, আর অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
কারাগার কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বলেন, “সকালে কাশিমপুরের কারাগার থেকে ৩১ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
“ফেরার সময় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎপুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ অনেককেই বিমর্ষ দেখা গেছে।”
৩১ আসামির মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। কয়েদির পোশাক পরিয়ে তাকে রাখা হয় ফাঁসির সেলে।
সুব্রত কুমার বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আটককৃতদের মধ্যে আছেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা আরিফ হাসান সুমন ও আব্দুর রউফ, পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা ও শহিদুল হক, অতিরিক্ত আইজি খোদা বকস, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমীন, এএসপি আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আরিফুর রহামান আরিফ, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলার ১৭ আসামি তাদের কারাগারে ছিলেন। সকালে তাদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়। তাদেরও বিকেলে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।