একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোমবার রিজেন্ট বোর্ডের ১৯ সদস্যের সবার উপস্থিতিতে এক সভায় পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
“বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর ৫৬ শিক্ষক তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেছেন।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মো. আলাউদ্দিন।
মো. আলাউদ্দিন বলেন, সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে তাদের নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে সভায়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, সহসভাপতি ইমরান মিয়া, সহসভাপতি আদ্রিতা পান্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবির ইকবাল ও ইয়াছিন আরাফাত।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স বাতিল, কথিত যৌন নিপীড়ণকারী শিক্ষকের শাস্তি ও ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ নেতারা।
দাবি না মানলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব তালুকদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অর্ডিনেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ দিতে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে বিভাগটির কয়েকজন শিক্ষককে অপমান করার অভিযোগ তুলে সোমবার ৫৬ শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক পদ ত্যাগ করেছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওইদিন বিকালে ঢাকায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা হয়।