ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ সুলতানা রাজিয়া মঙ্গলবার নয় বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের আবুল খায়ের, গোলাপ মিয়া ও দোহা ওরফে দুইখ্যা ও কোহিনূর বেগম।
তাদের মধ্যে আবুল খায়ের ছাড়া অন্য সবাই পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া এ মলায় মোখলেছুর রহমান ও আল আমিন নামে দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি দ্বীন ইসলাম মামলার নথির বরাতে জানান, নবীনগর উপজেলার আমতলি গ্রামের আবদুল বারেক খানের ছেলে মো. শাহজাহান খান ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর খুন হন। সৌদি প্রবাসী শাহজাহান ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
“বাড়ি আসার পর থেকে স্ত্রী কোহিনূরের পরকীয়া নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। ২ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে শাহজাহানের চিৎকার শুনে তার বাবা বারেক গিয়ে বিছানায় গলাকাটা লাশ দেখতে পান। এ সময় ওই ঘরে তাদের তিন শিশুসন্তানও ছিল।”
এ ঘটনায় কোহিনূরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন বারেক খান। পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
গ্রেপ্তারের পর কোহিনূর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দেন জানিয়ে পিপি বলেন, পরে কোহিনূর জামিন পেয়ে পালিয়ে যান। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে।
আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী এ কে এম আবদুল হাই।