সোমবার বগুড়া, জামালপুর, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোণা থেকে বিক্ষোভের খবর পাঠিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিরা:
বগুড়ায় ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে কোটা বহালের দাবিতে বিক্ষোভ
সোমবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে একদল তরুণকে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে কোটা বহালের দাবিতে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল্লা বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন সান্তাহার যাওয়ার পথে এখানে আসে ১১টা ৫০ মিনিটে।
“আন্দোলনকারীরা ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে। ট্রেনটির পাঁচ মিনিট যাত্রাবিরতির কথা থাকলেও সমাবেশকারীদের কারণে অতিরিক্ত ১২মিনিট পর ট্রেনটি ছাড়া হয়।”
বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ জামালপুরের উদ্যোগে শহরের দয়াময়ী চত্বর ও তমালতলা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম শহরের প্রধান সড়কে অবরোধ করলে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
কোটা বহালের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোখলেছুর রহমান হিরু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সুজায়াত আলী ফকির, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার হায়দার আলী, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের আহ্বায়ক জাফর ইকবাল জাফু, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা শাখার সভাপতি শাহজাদা হোসেন আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম ইদু।
লক্ষ্মীপুরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সড়কে অবস্থান
সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে তারা ঢাকা-রায়পুর ও রামগতি সড়কে ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানযট সৃষ্টি হয়।
পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
নেত্রকোণায় অবস্থান কর্মসূচি
বেলা ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে।
মুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুজ্জোহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল আমীন, আটপাড়া উপজেলা চেযারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খায়রুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি খায়রুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামাল বক্তব্য দেন।