রোববার সুনামগঞ্জে একটি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে তিনি বলেন, বস্ত্রখাতে ১৫ হাজার দক্ষ জনবল আছে যারা বিদেশি; ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে।
তারা ডলারে যে পরিমাণ বেতন নিয়ে যায় তা বাংলাদেশের সাত লাখ শ্রমিকের বেতনের সমান বলে জানান মন্ত্রী।
“যেজন্য বস্ত্রখাতে দক্ষতা অর্জনে দেশের প্রত্যেক জেলায় একটা করে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ও বৃহত্তর জেলাগুলোয় একটা করে টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে।
“একটা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় আছে, ভবিষ্যতে আরও করা হবে।”
মির্জা আজম আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাট খাতকে যুগোপযোগী করছি। রশি, ছালা, বস্তার মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ না, এখন পাট থেকে ২৮৫টা পণ্য তৈরি হচ্ছে; যা তিন বছর আগে ছিল মাত্র ৩৫টি।”
বিশ্বের ১২০টি দেশে বাংলাদেশের পাট পণ্য রপ্তানি হয় এবং দিন দিন তা আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানান।
দুপুরে মির্জা আজম দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ‘সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, জয়া সেনগুপ্তা, মেয়াজ্জেম হোসেন রতন, শাহানা রব্বানী, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান প্রমুখ।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এই ইন্সটিটিউট নির্মাণ করছে।