উদ্বোধনী দিনের মতো শনিবার সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচেও স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
পহেলা অক্টোবর বাংলাদেশ-লাওসের খেলার মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের পঞ্চম আসরের। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার শেষ খেলায় মুখোমুখি হয় নেপাল ও ফিলিস্তিন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষিক্ত হয়েছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। সেদিনও সিলেটবাসীর ফুটবলপ্রেম দেখেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরুর অনেক আগেই দর্শকের চাপে স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে গিয়েছিল। মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক।
ওই ফুটবল উন্মাদনার পর সিলেটে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ফুটবলের দেখা মিলছে।
এবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের সবকয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সিলেটে। টুর্নামেন্টেকে ঘিরে সিলেটের ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দর্শকের উন্মাতাল উচ্ছ্বাসে কেঁপে উঠছিল সিলেট স্টেডিয়াম এলাকা। পুরো নগরী পরিণত হয়েছিল ফুটবল উৎসবের নগরীতে।
সিলেটে ফুটবল দর্শকদের এমন সরব উপস্থিতি দেখে এটিকে ফুটবলে নবজাগরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সাহাজ উদ্দিন টিপু।
সিলেটে আরও বেশি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, দর্শকদের মাঠে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। সিলেটে এর আগেও সব খেলায় দর্শকদের এমন সাড়া পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গ্রুপ পর্বের সব খেলায় দর্শকদের সরব উপস্থিতি ছিল।
মূলত দর্শকদের এমন সাড়া পাওয়ায় টুর্নামেন্টের সফল সমাপ্তি হয়েছে বলে মনে করেন বাফুফে সদস্য সেলিম।