বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মশিউর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমারখালী উপজেলার উত্তরপার সাওতা গ্রামের মৃত মঙ্গল সেখের ছেলে সাহেব আলী শিহাব, কোরবান আলীর ছেলে জমির সেখ, উকিল উদ্দিন সেখের ছেলে মসলেম সেখ, তালেব আলী সেখের ছেলে আরিফ সেখ, ওসমান সেখের ছেলে মুক্তার সেখ মোকাদ্দেস ওরফে খোকন, হোসেন সেখের ছেলে ময়েন উদ্দিন এবং মোবারক সেখের ছেলে মিন্টু সেখ।
এছাড়া কেসবপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন সেখের ছেলে আরিফ শেখ শরীফ ওরফে কলা আলীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার নথির বরাতে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে কুমারখালী উপজেলার কেসবাপুর গ্রামের আরিফ সেখের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর সূত্র ধরে ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আরিফ ওই তরুণীকে নিয়ে তার বন্ধু একই উপজেলার বাসিন্দা মিন্টুর বাড়িতে তোলেন।
“ওই রাতে আসামিরা মিন্টুর বাড়ি থেকে তাকে অপরহণ করে পাশের কলাবাগানে নিয়ে রাতভর দলবেঁধে ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে যায়।”
আকরাম বলেন, পরদিন ১ অক্টোবর গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং একইদিন কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মেয়েটির এক আত্মীয়। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়।