এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন জেলেরা।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, তাদের হাসপাতালে আহত নয় জেলেকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠিসোটার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবাই আশংকামুক্ত।”
তারা হলেন শরণখোলা উপজেলার ফুল মিয়া (৩৫), রনি (১৯), সহাদেব (৫০), বেলাল (২৭), আফজাল (৫৫), রিয়াদুল (৪৮), আবু সালেহ্ (৩০), মনির খান (২৬) ও হেলাল খাঁন (১৮)।
তাদের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর, উত্তর তাফালবাড়ি, ঝিলবুনিয়া ও পূর্ব খাদাসহ বিভিন্ন গ্রামে।
বঙ্গোপসাগরের ১ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এফবি সুমন নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে মঙ্গলবার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে তাদের অভিযোগ।
তারা সাংবাদিকদের বলেন, হামলার সময় জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার নামে এক জেলে সাগরে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ হন।
এফবি সুমন ফিশিং ট্রলারের মালিক শরণখোলা উপজেলার খাদা গ্রামের কামাল মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাছ ধরতে ট্রলারের জেলেরা সাগরে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ একটি ট্রলার নিয়ে আসে ২০-২২ জনের একটি সশস্ত্র দস্যুদল। তারা আমাদের ট্রলারে উঠে জেলেদের এলাপাতাড়ি মারধর করে।
“এ সময় মনির, রনি, আফজাল ও জাহাঙ্গীর সাগরে ঝাঁপ দেন। দস্যুরা চলে যাওয়ার পর অন্যরা ট্রলারে উঠলেও জাহাঙ্গীর নিখোঁজ হন। পরে আমরা তাকে সেখানে ফেলে রেখে উপকূলে ফিরে এসেছি। দস্যুরা আমার ৩০টি জালসহ বিভিন্ন মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের শরণখোলা স্টেশনের কমান্ডিং অফিসার মাহবুব আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জেলেদের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছি। কোন দস্যুবাহিনী হামলা চালিয়েছে তা খুঁজতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করছি।”