উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ জানান।
এরা হলেন- সড়াতলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মনছুর রহমান (৪০), একই গ্রামের গগন উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৬৫), হাজী ওয়াহাব আলীর ছেলে রেজাউল (৪৫), দারোগ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৮), হাজী হাজরত আলীর ছেলে বাবলু (৪০), ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউসুব আলী (২৮), কয়ড়া খামারবাড়ির জব্বার ফকিরের ছেলে মঞ্জু হোসেন (২৮), ভেংড়ি গ্রামের ছবুর আকন্দের ছেলে শাহিন আলম (২৫), হাজী মোজদার আলীর ছেলে শাহাদত (৩৮), মোন্নাফ আলীর ছেলে রবিউল করিম (২২), হাজী জাল মাহমুদের ছেলে রেজাউল করিম (৪০) ও জহুরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (২০), বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্ব দেলুয়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ঠাণ্ডু, ঘাটিনা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে নাজমুল হোসেন, কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ও কয়ড়া কৃষ্ণপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নজরুল ইসলাম।
উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদকে গত সোমবার পুলিশের কাছ থেকে ‘ছিনিয়ে নেওয়ার’ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে আটক করল পুলিশ।এর আগে রোববার পাঁচজনকে আটক করা হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া চরপাড়া থেকে জামায়াত নেতা আজাদকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে থানায় নেওয়া হচ্ছিল।
পথে কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকার নেতৃত্বে একদল আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাকর্মী আজাদকে হাতকড়াসহ ‘ছিনিয়ে নেন’ বলে পুলিশের ভাষ্য।
পরে ওই রাতেই উল্লাপাড়া থানার এসআই রিপন কুমার সাহা জানান বাদী হয়ে আজাদ ও সাইফুলকসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আজাদ ও সাইফুল পলাতক রয়েছেন বলে ওসি কওশিক আহম্মেদ জানান।