বাগেরহাটে দুই খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে হামলায় এক নেতাসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

বাগেরহাট প্রতিনিধি.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2018, 12:18 PM
Updated : 2 Oct 2018, 12:31 PM

সোমবার রাতে পুলিশের একাধিক দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

চেয়ারম্যানের লাইসেন্স করা একটি শটগানসহ নানা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

দৈবজ্ঞহাটি বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনছার আলী দিহিদারের এবং বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শুকুর শেখের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দৈবজ্ঞহাটি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফকির শহীদুল ইসলাম, আবুয়াল হোসেন ফকির, আবুল শেখ ও জুলহাস ডাকুয়া। আবুয়াল হোসেন ফকির, আবুল শেখ দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্য।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চেয়ারম্যান ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

“এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হতাহতের ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি।”

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাদ আসর নিহতদের নামাজের জানাজা হয়েছে।

“উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে একটি দেশে তৈরি রিভলবার, একটি বিদেশি শটগান, একটি দেশে তৈরি ওয়ান স্যুটারগান, একটি কুড়াল এবং তিনটি গুলি রয়েছে। শটগানটি চেয়ারম্যান ফকির শহীদুল ইসলামের লাইসেন্স করা।”

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মশিউর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নিহত শুকুর শেখের ময়নাতদন্ত করেছে।

“নিহতের পিঠে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে তিনটি পিঠ থেকে ঢুকে সামনের পেট দিয়ে বের হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।”

সোমবার বিকালে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতা আনছার আলী দিহিদারসহ তিনজনকে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আওয়ামী লীগ কর্মী শুকুর শেখ ঘটনাস্থলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যান।