গ্রেপ্তার লাভলী আক্তার জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মো.জহিরের স্ত্রী। তিনি জেলা শহরের পুরানো পুলিশ কোয়াটার এলাকার একটি বাড়ির গৃহকর্ত্রী।
লাভলীকে সোমবার গভীর রাতে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম জানান।
‘নির্যাতনের শিকার’ ১৩ বছর বয়সী ওই মেয়েটির বাড়ি ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মধ্যম ধনিকুণ্ডা গ্রামে। ফেনী সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
পরিদর্শক শহীদুল বলেন, নির্যাতনের কারণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে লাভলী তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। সোমবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে মেয়েটির দেওয়া তথ্যে লাভলীকে আটক করা হয় বলে শহীদুল জানান।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহায়’র সমন্বয়ক মঞ্জিলা আক্তার মিমি বলেন, গত ছয় মাস আগে মেয়েটি লাভলী আক্তারের বাসায় কাজ নেন। এর কিছুদিন পর তাকে ঢাকায় লাভলীর মেয়ে মেরির বাসায় কাজের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
“সেখানে মেরি ওই মেয়েটিকে মারধরের পাশাপাশি খুন্তি ও কাঠের বেলুন দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে আবার লাভলীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
“পরে লাভলীর বাসায় রেখে মেয়েটিকে চিকিৎসা দেওয়া হলে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু সোমবার দুপুরে লাভলী ফের মেয়েটিকে মারধর শুরু করলে তার ঠোঁট কেটে যায়। পরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করিয়ে লাভলী পালিয়ে যান।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুন্তির ছেঁকা ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসায় ইতোমধ্যে হাসপাতালে বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
পরিদর্শক শহীদুল বলেন, গ্রেপ্তার লাভলী আক্তারকে থানায় রাখা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে; তারা এলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।