চুরির ‘অপবাদ দেওয়ায়’ স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

মাগুরা শহরে  নিজের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্কুলছাত্র।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2018, 07:42 PM
Updated : 2 Oct 2018, 05:11 AM

স্কুল থেকে দেওয়া মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দেওয়া তাকে আত্মহননে প্ররোচিত করে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।

মিশাউল সাদিদ নামে ওই কিশোর মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। বিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্য ছিলেন তিনি।

সোমবার রাতে মাগুরা শহরতলীর বেলনগন গ্রামের বাড়িতে শোবার ঘর থেকে পরিবারের সদস্যরা সাদিদের লাশ উদ্ধার করে। সাদিদ ওই এলাকার মাছুদুল হকের ছেলে।

সাদিদের চাচাত ভাই জাকারিয়া ও সহপঠি সাদিকুর সাদি সাংবাদিকদের জানান, সাদিদ রোববার স্কুলে গিয়ে আবিদ নামে তার এক সহপাঠির ব্যাগ থাকা মোবাইল ফোন দুষ্টুমি করে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। বইয়ের ব্যাগে মোবাইল ফোন না পেয়ে আবিদ সেটি স্কুলের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাদিদ তার ফোনটি ফেরৎ দেয়। সাদিদ তখন সহপাঠিদের বলেছিলেন, স্কুলে মোবাইল ফোন আনা নিষেধ বলে আবিদকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দুষ্টমি করে মোবাইল ফোনটি লুকিয়েছিলেন তিনি।

সাদি বলেন, এদিকে আরেক শিক্ষার্থী ঘটনাটি স্কুলের বিএনসিসি শিক্ষক ফিরোজ হোসেন ও অফিস সহকারী আকরাম হোসেনকে জানালে তারা সাদিদকে চোর আখ্যায়িত করে তাকে বিএনসিসি থেকে বহিস্কার করেন। তারা ঘটনাটি সাদিদের বাবাকেও জানালে বাড়িতেও তাকে গালমন্দ শুনতে হয়।

এই কারণেই সাদিদ আত্মহত্যা করেন বলে সাদি মনে করেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান মোবাইল ফোন নিয়ে সংঘটিত ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, “এটি দুঃখজনক একটি ঘটনা।”

সদর থানার এসআই আলমগীর  হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাদিদের পরিবার আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।