জাজিরায় শিক্ষিকা হত্যা: ‘স্বীকারোক্তিতে যুবলীগ নেতার নাম’

শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষিকা রুবিনা আক্তার রুমা হত্যায় গ্রেপ্তার একজন তার স্বীকারোক্তিতে এক যুবলীগ নেতা জড়িত থাকার কথা বলেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2018, 01:38 PM
Updated : 1 Oct 2018, 01:49 PM

রোববার শরীয়তপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম নিজাম উদ্দিনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মেহেদী হাসান।

তবে জাজিরা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে কামাল মাদবর ওরফে তমি কামালকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার জবানবন্দি এখনও পাওয়া যায়নি।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জাজিরা উপজেলার বড় মূলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুবিনা আক্তার রুমা নিখোঁজ হন। ২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় রুবিনার আপন ভগ্নিপতি যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন ওরফে কামাল মাদবর ওরফে তমি কামাল ও কামালের ভাগনে মেহেদী হাসানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

রুবিনা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দীন সেক বলেন, রুবিনা হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেহেদী হাসান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

“স্বীকারোক্তিতে তিনি তমি কামালের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে দাবি করেছেন।”  

পরিদর্শক নাসির আরও বলেন, গ্রেপ্তার অপর আসামি যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন ওরফে কামাল মাদবর ওরফে তমি কামালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজত (রিমান্ড) চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আগামী ৪ অক্টোবর তমি কামালের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে রুবিনা আকতার রুমা মধ্যরায়ের কান্দির নিজ বাড়ি থেকে জাজিরা সদরে যাওয়ার কথা বলে বের হন। তখন থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তার ভাই সামসুল হক মুন্সি জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে রুবিনার গলিত লাশ পাওয়া যায়।

২৬ সেপ্টেম্বর সামসুল হক মুন্সি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।