উপজেলার পশ্চিম খাবাসপুরে নিজ ঘর থেকে শনিবার রাতে ওই গৃহবধূকে ‘অসুস্থ’ অবস্থায় উদ্ধারের পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে কোতয়ালি থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শাবনাজ বেগম (১৯) ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের চাচা মহসিন ব্যাপারী জানান, দেড় বছর আগে গিয়াসের সঙ্গে তার ভাই রাজ্জাক ব্যাপারীর মেয়ে শাবনাজের বিয়ে হয়। গিয়াস সৌদি আরব চলে যাওয়ার পর থেকে ননদ আফরোজা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ভাতিজির ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
“শনিবার রাতে শাবনাজের শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবাইলে ফোনে জানানো হয় যে, শাবনাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে আমরা গিয়ে তাকে খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখি। ”
পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাবনাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান মহসিন।
তিনি বলেন, “শ্বশুরবাড়ির লোকজনই আমার ভাতিজিতে হত্যা করেছে।”
কোতোয়ালি থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের গলা ও হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।