উপজেলার কুচিবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গোলাম সরোয়ার জানান, এই গ্রামের সামাদ শেখের ছেলেরা বুধবার রাতে তাদের মাকে রাস্তায় রেখে আসেন।
৮৬ বছর বয়স ফুজলী বেগম তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মা। তারা কেউই মায়ের দায় নিতে রাজি না।
ফুজলীর স্বামী সামাদ শেখ প্রায় ৩০ বছর আগে মারা গেছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, ভোরে এলাকাবাসী টের পেয়ে তার ছেলেমেয়েদের বোঝানোর চেষ্টা করে। গ্রামবাসী খাবার-দাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ছেলেমেয়েরা কেউ রাজি হয়নি।
“তখন এলাকাবাসী তার বড় ছেলে ডাকু শেখকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তার বাড়িতে রেখে আসে।”
এ বিষয়ে ফুজলীর ছেলেরা কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
বড় ছেলে ডাকু শেখ বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারব না।”
ফুজলী সাংবাদিকদের সামনে অপলক তাকিয়ে থাকলেও কোনো কথা বলেননি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন বলেন, তিনি ঢাকায় কাজে আছেন। ফিরে এসে ঘটনা খতিয়ে দেখবেন।
লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”