বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় এক সতবিনিময় সবায় জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, জাতীয় ঐক্যের নামে যে ঐক্য গঠিত হয়েছে তাদের দাবি বিশ্লেষন করলে দেখা যায় তারা নির্বাচনের জন্য নয়, বরং নির্বাচনকে কীভাবে বানচাল করা যায় তার একটা ফন্দি-ফিকিরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
তারা বাংলাদেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা শুরু করেছেন বলে তিনি মনে করেন।
নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে সরকারকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে কামাল হোসেন ও একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’।
গত শনিবার ঢাকায় ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র উদ্যোগে মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তারা এই সময়সীমা বেঁধে দেন।
“ফখরুলকে মাঝে রেখে ড. কামাল ও বি চৌধুরীর উল্লাস কার্যত রাজাকারের উল্লাস,” আখ্যায়িত করে ইনু বলেন, “যারা সমারিক শাসন ও রাজাকারের দালালি করেছে এবং জঙ্গির পক্ষে সমর্থন নিয়েছে তাদের সঙ্গে হঠাৎ করে কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীরা হাত মেলালেন কী করে তা বোধগম্য নয়।”
তিনি বলেন, “জামায়াতের নিবন্ধন থাকল কী থাকল না সেটা বড় কথা নয়, জামায়াত একটা আনুষ্ঠানিক ২০ দলীয় জোটের শরিক। হঠাৎ কী এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটল যে জামায়াত ২০ দলীয় জোটে বহাল থাকা অবস্থায় কামাল হোসেন ও বি চৌধুরী ফখরুল ইসলামকে মাঝখানে রেখে হাত নেড়ে উল্লাস প্রকাশ করেন!
“আমি মনে করি এই উল্লাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজাকারের হাসি। সুতরাং এই ঐক্যটা অপরাধীদের রক্ষার ঐক্য এবং সকল রাজাকার ও অপরাধীদের একত্র করার ঐক্য।”
বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় সেখানে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ এবং ফুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মা ও অভিভাবকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে যোগ দেন।