শেরপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আদালত সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছে। এ টাকা নিহত ছাত্রীর পরিবারকে দিতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের ফজল হকের ছেলে আমানুল্লাহ (২৫), হাবিবুর রহমানের ছেলে নূরে আলম (৩০) ও মজিবর রহমানের ছেলে কালু মিয়া (৩২)।
তাদের মধ্যে আমানুল্লাহ ও নূরে আলম রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। কালু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার আরও তিন আসামিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
তারা হলেন ওই গ্রামের হারুনুর রশীদ (৩৮), সুন্দরী বেগম (৩৮) ও আনোয়ার হোসেন আনু (২০)।
আদালতের পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই বাকাকুড়া গ্রামের মফিজুল হকের মেয়ে বিনা আক্তারকে দলবেঁধে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। বিনা স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
“খুনিরা তার মুখে এসিড ঢেলে দেয় এবং যৌনাঙ্গে গাছের ডাল ঢুকিয়ে বাকাকুড়ার শিলঝোড়া খালে লাশ ফেলে রাখে।”
এ ঘটনায় বিনার মা সবুজা খাতুন মামলা করার পর পুলিশ আমানুল্লাহ ও নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ অক্টোবর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ঝিনাইগাতী থানার এসআই আব্দুল করিম।
পিপি কিবরিয়া বলেন, আমানুল্লাহ ও নূরে আলমের জবানবন্দিসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেছে আদালত।