একজনকে হত্যার পর অন্যজন আত্মহত্যা করতে পারে অথবা দুইজনই খুন হয়ে থাকবে বলে পুলিশের ধারণা।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার সোনাপুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধারসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামনিয়া এলাকার দুলু মাহমুদের ছেলে মজুন মিয়া (২৭) ও জোরাবালি এলাকার মিনারুল ওরফে মিনু (২৮)।
তাদের মধ্যে মজনুর গলায় ফাঁস দেওয়া আর মিনুকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পরিদর্শক সেলিম বলেন, “মঙ্গলবার রাতে মজনু ও মিনু ওই বাড়িতে লায়লী বেগমের (৩৫) ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। মজনু ছিলেন লাইলীর পূর্বপরিচিত। নীলফামারীতে পাশাপাশি গ্রামে তাদের বাড়ি। মিনু সম্ভবত মজনুর বন্ধু।
“ধারণা করা হচ্ছে মিনুকে গলাকেটে হত্যার পর মজনু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, অথবা তাদের দুইজনকে অন্য কেউ হত্যা করে থাকবে।”
এ ঘটনায় লাইলী, তার স্বামী এহসান ও তাদের ছেলে বাদশাকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, “তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।