এ অভিযোগে মঙ্গলবার গাজীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনার মোল্লাপাড়ায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, মামলা করার পর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে বারবার হুমকি দিচ্ছিল।
“পুলিশের অভিযোগপত্র দেওয়ার খবর শুনে মামলাটি তুলে নিতে সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ির সামনে এসে কাওসার ও তার সহযোগীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে।
“লোকজন এগিয়ে আসলে মামলা না উঠালে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে এবং জীবন শেষ করে ফেলার হুমকি দিতে দিতে চলে যায় তারা।”
মেয়েটির বরাতে পরিদর্শক মিজানুর বলেন, দক্ষিণ সালনার মোল্লাপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে কাওসারের সঙ্গে প্রেম ছিল মামলার বাদী ওই কলেজছাত্রীর। গত ৭ জুন বিয়ের ব্যাপারে কথা আছে বলে কাওসার তাকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের এক বাড়িতে নিয়ে যায়।
“পরে সেখানে ৪-৫ জনের পাহারায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর তার কান্নাকাটি শুনে কাওসার তাকে বিয়ে করবে বলে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখতে বলে, অন্যথায় খুন করার হুমকি দেয়।
তার কান্নার শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে কাওসার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ৯ জুন কাওসার ও তার সহযোগী আসাদুল, জনি, সোহেল ও মোহাম্মদ আলীকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে।