জেলার ডোমার থানার পরির্দশক মোকছেদ আলী ব্যাপারী বলেন, অর্পণ ইসলাম (২৪) নামে সাঈদের এক সহকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
নিহত সাঈদ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে জেলার ডোমার উপজেলায় কাজ করতেন।
আর অর্পণ ইসলাম ছিলেন একই কার্যালয়ে মিটার রিডার।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডোমার উপজেলা শহরে নিজের ভাড়া বাসার শোয়ার ঘর থেকে সাঈদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরির্দশক মোকছেদ বলেন, “মামলার পর আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে মিটার রিডার অর্পণকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।”
তিনি অর্পণের বরাতে বলেন, “সহকর্মী হিসেবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে সাঈদের চার হাজার টাকা চুরি হয়। সাঈদ টাকা চুরির জন্য অর্পণকে দায়ী করেন। অর্পণ নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও সাঈদ সহকর্মীদের কাছে অর্পণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
“এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্পণ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ১৭ সেপ্টম্বর রাতে সাঈদের সঙ্গে এক বিছানায় শুয়ে ঘুমের ভান করেন অর্পণ। সাঈদ ঘুমিয়ে গেলে নিজের শার্ট খুলে সাঈদের একটি শাট পরে কাটারি দিয়ে ঘুমন্ত সাঈদের গলা কেটে হত্যা করেন। পরে রক্তমাখা শার্ট খুলে বাথরুমে গিয়ে ধুয়ে নিজের শার্ট পরেন। তারপর অর্পণ ওই ঘরে তালা লাগিয়ে চলে যান পাশের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নিজের ভাড়া বাসায়।”
নীলফামারীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সামিউল ইসলামের কাছে অর্পণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পরির্দশক মোকছেদ।