যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম শেরপুরে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেরপুরের চার জনের বিচার শুরুকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও প্রসিকিউশন টিম ওই জেলায় সফর করেছেন।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2018, 04:21 PM
Updated : 24 Sept 2018, 04:22 PM

সোমবার এ সফরে ছিলেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ারা বেগম ও প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম।

হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার বিচার শুরু হবে।

এ মামলার আসামিরা হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক, এ কে এম আকরাম হোসেন, মো. এমদাদুল হক খাজা ওরফে খাজা ডাক্তার ও মোখলেসুর রহমান তারা।

এদের মধ্যে প্রথম তিনজন কারাগারে আছেন। মোখলেসুর রহমান তারা রয়েছেন পলাতক।

তদন্ত সংস্থার এ দুই কর্মকর্তা শেরপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ছাড়াও নকলার মুক্তিযোদ্ধা, ভুক্তভোগী, বিচার প্রত্যাশী মানুষ, সাক্ষী, উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

শেরপুর ও নকলা সফর শেষে সন্ধ্যায় জেয়াদ আল মালুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেরপুরের নকলায় আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লুটপাটের বিষয়ে যে তদন্ত চলছিল চার রাজাকারের বিরুদ্ধে সেটির তদন্ত প্রতিবদন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগও গঠিত হয়েছে।

“আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার ওপেনিং স্টেটমেন্ট প্রসিকিউশনের সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য আছে।”

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আসামিপক্ষের লোকজন টালকিসহ বিভিন্ন স্থানের সাক্ষীগণকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে। ইতিপূর্বে  শেরপুরের কামারুজ্জামানের মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার সম্পন্ন হয় সে মামলার যারা সাক্ষী ছিলেন তাদের সুরক্ষা এবং আগামীতে যারা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিবেন তাদের সুরক্ষা বিষয় নিয়েই তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনের এই শেরপুর ও নকলা সফর। 

এই মামলার অভিযোগগুলো হলো:

১. ১৯৭১ সালের ২১ জুলাইয়ে এই চার আসমি পাকিস্তানী আর্মিসহ আব্দুল মান্নানের বাড়ি ঘেরাও করেন। তারা আব্দুল মান্নান ও তার ভগ্নিপতিকে গুলি করে হত্যা করেন। এই হত্যাকাণ্ড দেখে ফেললে সোহরাবকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। রাজাকার ও সেনা সদস্যরা ফিরে যাওয়ার সময় টালকি ইউনিয়নের মজিদের বাড়ি লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

২. একাত্তরের ২৭ অগাস্ট আসামি এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেসুর রহমান সঙ্গীয় রাজাকার ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিয়ে নকলার আব্দুল হান্নানকে অপহরণ, অবৈধভাবে আটক ও নির্যাতন শেষে হত্যা করা করে।

৩. একাত্তরের ২৭ অগাস্ট আসামি এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেসুর রহমান সঙ্গীয় রাজাকার ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিয়ে নকলার শাহজাহান আলী ওরফে সাজুকে অপহরণ করেন। পরবর্তীতে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেন।

৪. চার আসামির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও রয়েছে।