‘টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র,’ গোপালগঞ্জে আটক ১

গোপালগঞ্জে টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2018, 12:34 PM
Updated : 24 Sept 2018, 12:34 PM

আটক আমিনুল ইসলাম পলাশ (৩৮) জেলার কাশিয়ানী উপজেলার চরভাটপাড়া  গ্রামের মজিবর রহমান মনির ছেলে।

জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান জানান, যশোর ও মাগুরার লোকজনের কাছে অভিযোগ পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় টাস্কফোর্স তাকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে কাশিয়ানী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলেছে।

পলাশকে আটকের খবর শুনে আট-নয়জন লোক সোমবার গোপালগঞ্জে এসে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ঘটনা জানান।

এক ব্যক্তি নিজেকে যশোরের বাঘারপাড়ার মেহেরপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫০) বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “পলাশ আমাকে জানান ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

“স্পেশাল ইন্টারভিউ নিয়ে তিনি চাকরি দিতে পারবেন বলে আমাকে জানান। আমি আমার শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, ভাগ্নে, ভাগ্নিসহ পরিবারের নয়জনের কাছ থেকে ৩৯ লাখ টাকা এনে পলাশকে দেই। পলাশ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের নয়জনের ইন্টারভিউ শেষে নিয়োগপত্র দেন। নিয়োপত্র ভুয়া হওয়ায় তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি।”

আরেক ব্যক্তি নিজেকে বাঘারপাড়ার আলমগীর হোসেন বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “পলাশ আমার কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। ইসলামী ব্যাংকের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।”

যশোর সদরের ভাতুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেন নামে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, “ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমাদের দুই ভাইয়ের কাছ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন পলাশ। কিন্তু এখানও চাকরি দিতে পারেননি।”

এ রকম আরো কয়েকজন একই অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে পলাশ বলেন, “গ্রাম্য পলিটিক্স নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কোনো প্রতারণা করিনি।”

পুলিশের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, পলাশ যশোরের বাঘারপাড়া, কেশবপুর, মনিরামপুর ও মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বহু মানুষের সঙ্গে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন।