রোববার ডেগেরচালা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনজুর রহমান জানান।
আটকরা হলেন রংপুরের লিমন সরকার (৩০), পাবনার মোসলেম উদ্দিন (৪০), নেত্রকোণার রাসেল (২৫), বগুড়ার জুয়েল (৪৫), নওগাঁর তপু (৩২), কুমিল্লার মো. কাউসার (৪৫) এবং ময়মনসিংহের আব্দুল হাকিম।
কমিশনার মনজুর রহমান বলেন, নগরীর ডেগেরচালা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আমিনুল ইসলামসহ তিন ব্যক্তি নিজেদের ফিউচার -২১ ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানির মালিক দাবি করে অবৈধভাবে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করে আসছিলেন।
“সেখানে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।”
তিনি বলেন, সকালে সেখানে অভিযান চালালে মূল ব্যক্তিরা পালিয়ে গেলেও ওই ব্যবসায় জড়িত সাত জনকে আটক করা হয়।
“তাদের কাছে ওই ব্যবসা পরিচালনার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। হোতারা পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এ ব্যাপারে গাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রতারণার শিকার লক্ষ্মীপুরের ইমরান বলেন, ওই প্রতারকরা তাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ইমরান বলেন, কয়েক মাস হলেও তারা তাকে চাকরি না দিয়ে তার মতো আরও দুইজন গ্রাহক আনতে বলে। তাতে তিনি রাজি না হয়ে তার টাকা ফেরত চাইলে ওই প্রতারক চক্র তাকে টাকা না দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর তিনিসহ প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজন ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন।