ময়মনসিংহে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

ময়মনসিংহে স্কুল ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2018, 04:57 PM
Updated : 22 Sept 2018, 04:57 PM

শনিবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মামলার বাদী ধর্ষিতার বড় বোন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুল ছাত্রী ত্রিশাল থেকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে ভালুকা যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হ।

মামলার বাদী বলেন, “আমার বোন বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় ওই অটোরিকশায় একজন নারী ও সুমন নামে এক যুবক ছিল। সুমন অনেকদিন ধরেই আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।”

অটোরিকশাটি বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে গেলে ওই নারী নেমে পড়েন এবং সুমনের ইশারায় চার জন যুবক অটো রিকশায় ওঠে বলে বাদী বলেন।

“কিছুদূর যাওয়ার পর সুমনসহ অজ্ঞাত দুই যুবক আমার বোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে সে চিৎকার করতে থাকে।

“চিৎকার শুরুর পর যুবকরা তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে গাড়িটি একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং সেখানে সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দলবেঁধে ধর্ষণ করে।”

তিনি আরও বলেন, পরে তাকে প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে ফেলে চলে যায়।

পরদিন ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান বাদী।

এ ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর সুমন ও অটোরিকশাচালক সেলিমসহ পাঁচ যুবককে আসামি করে ত্রিশাল থানায় মামলা করা হয়েছে।

আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে বাদী বলেন, সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফায়েজুর রহমান বলেন, সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ তারা দেননি।