বগুড়ায় রেলসেতু বন্ধ: বিকল্প পথে আন্তঃনগর ট্রেন

পিলার দেবে বগুড়ায় রেল সেতু বন্ধ হওয়ার পর কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনকে বিকল্প পথে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে; তবে মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হয়।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2018, 02:31 PM
Updated : 22 Sept 2018, 03:02 PM

বগুড়ার সোনাতলা ও ভেলুরপাড়া স্টেশনের মাঝে মধ্যদীঘলকান্দিতে পানি তীব্র স্রোতে চকচকিয়া সেতুর একটি পিলার দেবে যায়। এ কারণে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ লাইনে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার সকাল নাগাদ দেবে যাওয়া পিলারটি মেরামতের পর এর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।

বগুড়ায় রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আসলাম হোসেন বলেন, দেবে যাওয়া পিলারের নিচে লোহার রিং বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। রিংগুলো বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে আনা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) আফজাল হোসেন সন্ধ্যা ৭টায় বলেন, রেলওয়ে ক্লিপগুলো এখনও এসে পৌঁছেনি।

“ধারণা করা হচ্ছে ক্লিপগুলো বসাতে সারারাত লেগে যাবে। ফলে রোববার সকালের আগে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে না।”

বগুড়া স্টেশন মাস্টার বেঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-সান্তাহার-বগুড়া-রংপুর-দিনাজপুর-লালমনিরহাট রুটে প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় ১৬টি ট্রেন চলাচল করে।

শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে অবস্থিত ওই সেতু ট্রেন চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণার পর লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সোনাতলা স্টেশনে আটকে রাখা হয়। একইভাবে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা বগুড়ার সান্তাহারগামী আন্তঃনগর ‘দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিকেও সেখানে আটকে রাখা হয় বলে তিনি জানান।

“অবশ্য দুপুর ২টার পর ট্রেন দুটিকে ঘুরিয়ে কাউনিয়া ও রংপুর হয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে বগুড়ার সান্তাহার হয়ে পার্বতীপুর হয়ে রংপুর যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,” বলেন তিনি।

ওই দুটি ট্রেনের বগুড়ার যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটগামী ১৯ আপ বগুড়া মেইল এবং সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী ৪৯১ আপ লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বেঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, “রোববার সকালের মধ্যেও যদি সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হয় তাহলে লোকাল ও মেইল ট্রেনগুলো হয়ত ওই সেতুর উত্তরে সোনাতলা এবং দক্ষিণে বগুড়া পর্যন্ত চলাচল করানো হতে পারে।”

রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, প্রবল স্রোতের চাপেই পিলারটি দেবে গেছে। দেবে যাওয়া পিলারের নিচে মাটি খুঁড়ে তার ভেতরে ৬ ফুট দীর্ঘ এবং ২ ফুট প্রস্থের লোহার ক্লিপগুলো বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বালু দিয়ে তা ঢেকে দেওয়া হবে।

“ক্লিপগুলো সান্তাহার স্টেশনে এবং বালু বগুড়া স্টেশনে রয়েছে। সেগুলো রাত ১০টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছার কথা রয়েছে।”