দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুস্পকাটিতে এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলেও আসলে কী ঘটেছিল, কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হল- সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, সকালে স্থানীয় একটি পুকুরের কিনারায় চার বছর বয়সী ফারিয়া খাতুনের লাশ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
আর তার বাবা ফরহাদ হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে ওই পুকুরের কাছে একটি বাগানের ভেতরে মুখে গামছা বাঁধা ও কাদামাখা অবস্থায় খুঁজে পায় এলাকাবাসী।
“এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরের ধারের একটি বাগান থেকে এলাকার লোকজন ফরহাদকে মুখবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।কিন্তু সারারাত খোঁজাখুজি করেও মেয়েকে পাওয়া যায়নি; সকালে এলাকার লোকজন ওই পুকুরের কিনার থেকে ভাসমান অবস্থায় ফারিয়ার লাশ উদ্ধার করে।”
দেবহাটা থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী বলেন, শিশুটি ও তার বাবার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
রাতে কী ঘটেছিল তা জানতে ফরহাদকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না; ঘটনাটি নিয়ে কেউ কিছু বলতে ও পারছে না। ফলে তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না।”