বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথম ছাত্রী হলের ডি ব্লকের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে বলে সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান জানান।
তিনি বলেন, “ওই ব্লকের ১৩২ নম্বর রুম থেকে দুই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।”
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিলীমা আক্তার বলেন, রাত ২টার দিকে হলের নিচতলায় সিঁড়ি ঘরের জানালার গ্রিল কেটে কয়েকজন যুবক হলের ভেতর ঢোকে। পরে তারা ডি ব্লকের কয়েকটি কক্ষের ছিটকিনি খোলার চেষ্টা করে।
“ভোর ৫টার দিকে ১৩২ নম্বর রুমের এক শিক্ষার্থী টয়লেটে গেলে ওই যুবকেরা বাইরে থেকে টয়লেটের দরজায় আটকে দেয়। তারপর তারা ওই কক্ষে ঢোকে। ওই রুমের অন্য শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।”
ওই মাসের ২০ তারিখ সৈয়দ বেগম সিরাজুন্নেসা হলের ডি ব্লকের ৪০১ ও ৪০২ নম্বর রুম থেকে চারটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
ওই চুরির ঘটনায় বিশবিদ্যালয়ের ভেতরের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও পরে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
তারা বলছেন, ৩২০ একরের ক্যাম্পাসে চারদিকে কোনো সীমনা প্রাচীর নেই। এ কারণে সহজেই চুরি-ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়া যায়।এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
প্রথম ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার বলেন, “ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে, আমরা হলের মধ্যে কোন নিরাপত্তা নিয়ে ঘুমাব?”
বুধবার রাতে তিন যুবককে হলের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে প্রভোস্ট আমিনা পারভিনকে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ করেন তানজিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনা পারভিরন বলেন, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান বলেন, “প্রশাসনিকভাবে আমরা অবগত।তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”