রংপুরে দলবেঁধে ধর্ষণ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় বিবাহিত নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক নারীসহ চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 04:45 PM
Updated : 19 Sept 2018, 04:45 PM

বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন।

এরা হলেন পীরগঞ্জের খয়েরবাড়ী গ্রামের এনছার আলী (৩৫), তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৩০), ধনাশালা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক এন্তাজ আলী (৩৮) ও খোলাহাটী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মিষ্টি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া (৩৬)।

‘ধর্ষণের শিকার’ ওই নারী (২০) মঙ্গলবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আরেক আসামি আমিনুল পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পীরগঞ্জ উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে এনছার আলীর আমন্ত্রণে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার বাড়ি আসেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ওই মেয়ে।

“সেদিন রাতেই স্ত্রীর সহায়তায় এনছার আলী ও মিঠু মিয়াসহ চারজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।”

ওসি বলেন, পরদিন (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর মেয়েটি কৌশলে আসামি মিঠুর সহায়তায় পীরগঞ্জের ধনাশালা গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে এন্তাজ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে এন্তাজ আলীও তাকে ধর্ষণ করে।

“১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ফের এনছার আলী মেয়েটিকে তার বাড়ি নিয়ে যায় এবং আবার ধর্ষণ করে।” 

ওসি বলেন, পরে এনছার আলী ও তার স্ত্রী জয়নব বেগম ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বেদম মারপিঠ করে হাত-পা বেঁধে গভীর রাতে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তায় ঢোকানোর চেষ্টা করে।

এ সময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বলে ওসি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হরেন্দ্র নাথ গোস্বামী বলেন, “গণধর্ষণের কারণে মেয়েটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। সুস্থ হওয়ার পর তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।”

ওসি রেজাউল আরও জানান, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।