ডোমার থানার পরিদর্শক মোকছেদ আলী বেপারী জানান, মঙ্গলবার রাতে ডোমার উপজেলা সদরে নিজের ভাড়া বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবু সাঈদ স্বাধীন নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) গাড়ি চালক। তিনি রংপুরের লালবাগের মৃত বাবু ইসলামের ছেলে।
এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
নেসকোর কর্মাচারীদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক মোকছেদ বলেন, সোমবার রাতে কাজ শেষে বাড়িতে চলে যান স্বাধীন। জরুরি কাজ থাকায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে অফিসে আসার কথা ছিল তার। কিন্ত দুপুর পর্যন্ত তিনি না আসায় তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
“বিকালে তার মাকে কল করা হলে তিনি কিছু জানাতে না পারায় কয়েকজন কর্মচারীকে বাসায় পাঠানো হয়। ঘর তালাবদ্ধ থাকলেও দরজার সামনে স্বাধীনের স্যান্ডেল দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
“এ সময় কর্মচারীরা ঘরের জানালা খুলে বিছানায় স্বাধীনের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।”
পরিদর্শক মোকছেদ জানান, রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
“মঙ্গলবার রাতেই নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা অজ্ঞাতদের আসামি করে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন যুবককে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মামলার তদন্ত চলছে বলে পরিদর্শক মোকছেদ আলী জানিয়েছেন।
নেসকোর ডোমার কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইমুল হক বলেন, স্বাধীন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে গত ছয় মাস নেসকোর ডোমার কার্যালয়ে পিকআপ চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
“অফিসের পাশেই একটি ভাড়া বাড়ির মেসে থাকতেন তিনি, যেখানে তার লাশ পাওয়া যায়।”