বুধবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় তাঁত জুট মিলের সামনে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপ উদ্দিনের ভাষ্য।
নিহত ফরিদ মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার হাটিপাড়া এলাকার বালাই মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে ১৮টি মামলা থাকার কথা বলছে র্যাব।
আলেপ উদ্দিন বলেন, “রূপগঞ্জ থানা ও র্যাব-১১ এর করা মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় ফরিদের নাম ছিল এক নম্বরে। দীর্ঘদিন ধরে সে নারায়ণগঞ্জে ফেনসিডিলের কারবার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। পাশাপাশি ইয়াবার কারবারেও তার নিয়ন্ত্রণ বাড়ছিল। এসব কারণে স্থানীয়রা তাকে ফেন্সি ফরিদ নামে চেনে।”
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, র্যাব-১১ এর একটি দল ভোরের দিকে তাঁত জুট মিল এলাকায় ‘মাদক উদ্ধার অভিযানে’ যায়।
“এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও তখন আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ফেন্সি ফরিদ গুলিবিদ্ধ হলে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।”
গুলিবিদ্ধ ফরিদকে পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান আলেপ উদ্দিন।
তিনি বলেন, এই অভিযানে র্যাবের সৈনক মোরসালিম ও কনস্টেবল আশরাফুল হকও আহত হন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি এবং ‘বিপুল পরিমাণ’ ইয়াবা পাওয়ার কথাও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।